ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় জুয়ার আসর বসাতে না দেওয়ার জেরে হামলা, আহত ৫

চকরিয়ায় জুয়ার আসর বসাতে বাঁধা দেয়ার জেরে বসতবাড়ি, দোকান ও জীপ গাড়ি ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা।

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া ::01

চকরিয়ায় জুয়ার আসর বসাতে বাঁধা দেয়ার জেরে প্রকাশ্যে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে বসতবাড়ি ও দোকানে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় ভাংচুর করা হয়েছে একটি জীপ গাড়ি ও ডেকোরের্টাস সামগ্রী। ঘটনার সময় মহিলাসহ ৫জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তারমধ্যে তিনজনকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত দুইদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার রাতে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাইজ কাকারা গ্রামে এই তান্ডব ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের হযরত শাহ ওমর (র.) মাজারের ওরসে বসানো জুয়ার আসর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্বৃত্তরা মাজার কমিটির লোকজনের কয়েকটি বসতবাড়ি ও দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর, ও লুটপাট চালিয়েছে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। এ সময় মাজার কমিটির পক্ষের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

মাজার পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি রশিদ আহমদ অভিযোগ করে জানান, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে স্থানীয় একটি চক্র মাজার এলাকায় বার্ষিক ওরশের অনুষ্ঠানে জুয়ার আসর বসাতে চেষ্ঠা করেন। এনিয়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তা গুঁড়িয়ে দেয়। কিন্তু ওই ঘটনার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার রাতে দুর্বৃত্তরা তান্ডব ও লুটপাট চালায় মাজার কমিটির পক্ষের মোস্তাফা কামাল নিশান, সাহাব উদ্দিন ও ডা. ফিরোজের বসতবাড়িতে। একই সাথে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয় নিকটত্মীয় আজিজুল হকের মুদির দোকান, আবুল কালামের কুলিং কর্ণার ও প্রতিবেশি নারায়ণ বাবুর চায়ের দোকানে। এ সময় সেখানে থাকা একটি চাঁদের গাড়ি ও ডেকোরের্টাস মালামাল ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় এতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

তিনি আরো জানান, হামলা ও তান্ডব চালানোর সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয় মহিলাসহ ৫জনকে। তাদের মধ্যে অহিদুল ইসলাম (২২), রাহেলা বেগম (৪৫) ও মঈন উদ্দিনকে (৩০) প্রথমে উপজেলা উপজেলা হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানতে চাইলে কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত ওসমান বলেন, মাজারের ওরসে জুয়ার আসর বসাতে বাধা দেওয়ার জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওইসময় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলি ছুঁেড় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বসতবাড়ি ও দোকানে তান্ডব ও লুটপাট চালিয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘মাজারের ওরসে জুয়ার আসর বসানোর খবর পেয়ে সেখান একাধিকবার অভিযান চালিয়ে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরই জেরে যারা মাজার কমিটির লোকজনের বসতবাড়িতে তান্ডব ও লুটপাট চালিয়েছে এব্যাপারে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে। ##

পাঠকের মতামত: